পাকিস্তান-তালেবান সম্পর্কে শীতলতা, ইতিহাস থেকে বর্তমান
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম
২০২১ সালের আগস্ট মাসে যখন তালেবান কাবুলে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের শেখ রশিদ আহমদ এটিকে ঐতিহাসিক বিজয় বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান আশা করেছিল যে তালেবানের উত্থান দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু করবে। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ক ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। বর্তমানে এই দুই পূর্বতন মিত্রের মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম কারণ সীমান্ত পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা ইস্যু।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগান তালেবানকে মিত্র হিসেবে গণ্য করে এসেছে। তালেবানের অনেক নেতা পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত এবং এখানে দীর্ঘকাল ধরে আশ্রয় পেয়েছিল। তবে, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর, পাকিস্তান আশা করেছিল তারা সীমান্ত বিরোধ এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। কিন্তু বাস্তবে তালেবান সরকার পাকিস্তানের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষত, ২০২২ সাল থেকে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার দায়ভার তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর উপর আরোপ করা হয়। টিটিপি এবং আফগান তালেবান দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং তাদের মধ্যে কৌশলগত ও সম্পদের আদান-প্রদান হয়ে আসছে।
পাকিস্তান আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা এই উত্তেজনার চূড়ান্ত প্রকাশ। পাকিস্তান দাবি করছে যে তালেবান সরকার টিটিপি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, তালেবান মনে করে এটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, যা পাকিস্তানকে নিজেই সমাধান করতে হবে। তালেবান এখন জাতীয়তাবাদী ধারণাকে কাজে লাগিয়ে আফগান জনগণের সমর্থন পেতে চায় এবং পাকিস্তানের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
'ডুরান্দ লাইন', যা পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে একটি বিতর্কিত সীমান্ত, দুই দেশের উত্তেজনার অন্যতম কারণ। আফগানিস্তানের কোনো সরকারই এই সীমান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি, যা পাকিস্তানের নিরাপত্তা কৌশলে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা শুধুমাত্র আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের পথকেও কঠিন করে তুলেছে। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব এবং নিরাপত্তা-ভিত্তিক সম্পর্ক এই উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, দুই দেশের নেতাদের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলি সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা